January 24, 2025, 4:24 am

বিজ্ঞপ্তি :::
Welcome To Our Website...
শিরোনাম ::
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের অভিনন্দন আকাশ চৌধুরী সম্পাদিত ‘বিজয় চিরন্তন’বেরিয়েছে ওসমানী হাসপাতালের নার্স আছমা আলহারামাইন থেকে বহিস্কার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবে ব্যারিষ্টার এম এ সালামের মতবিনিময় সুনামগঞ্জের গামাইরতলা সীমান্তে ভুয়া পুলিশ সহযোগী সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাঁচাতে জনগনের কাছে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিতে হবে: সিলেটে তথ্য সচিব সিলেটের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক শামীম “”বিদায় বেলায় ফুলেল শুভেচ্ছা সংবর্ধনা আর ভালোবাসা সিক্ত যিনি সাংবাদিক চঞ্চল মাহমুদ ফুললের সুস্থতা কামনায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পুরস্কার পেলেন দক্ষ সংগঠক ও অভিনয়শিল্পী কামাল জৈন্তাপুরে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিট নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিট নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে

বাংলাদেশ তবে ইতোমধ্যে এডহক কমিটির কার্যক্রমকে স্থগিত ঘোষণা করে পূর্ব নির্ধারিত তফসিল মতে ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান কমিটির কার্যক্রম চালানোর আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। গত ২০ নভেম্বর উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন।

বুধবার দুপুরে নগরীর সারদা হলে রেড ক্রিসেন্ট সিলেট ইউনিট কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানিয়েছেন ইউনিটের সেক্রেটারি মো. আব্দুর রহমান জামিল। এসময় বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মনসুজ্জামান বাবুলসহ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন- ‘ইউনিটের বর্তমান কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমান কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে এডহক কমিটি গঠনের জন্য কিভাবে আবেদন করলেন তা বর্তমান কমিটির বোধগম্য হচ্ছে না। সোসাইটির চেয়ারম্যানের কাছে প্রেরিত পত্রে সিলেট ইউনিটের বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে উল্লেখ করেছেন তিনি; ৩১ ডিসেম্বর কমিটির মেয়াদ শেষ হবে এবং সে মোতাবেক ২০১৮-২০২০ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর পত্রের প্রেক্ষিতে সোসাইটির মহাসচিব বি এম এম মোজহারুল হক বেআইনিভাবে গত ১৩ নভেম্বর একটি এডহক কমিটি দেন। যা বেআইনি এ কারণে যে চেয়ারম্যান ব্যতিরেকে অন্য কেউ কোন এডহক কমিটি অনুমোদন করতে পারেন না।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়- ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত সোসাইটির চেয়ারম্যান হলেন সকল ইউনিটের ক্ষমতাবান ব্যক্তি। তিনিই ইউনিট গঠন ও বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন। আজীবন সদস্য না থাকা স্বত্বেও চারজনকে এডহক কমিটির সদস্য করা হয়। বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে গঠিত এডহক কমিটি আদালত স্থগিত করেছে। তাই বর্তমান কমিটির কার্যক্রমে আর কোন আইনি বাঁধা নেই। নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে সিলেট ইউনিটের নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহমান জামিল বলেন- ‘বর্তমান কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই রেড ক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালের সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছেছে। সেবা গ্রহিতারা হাসপাতালে ভীড় করছেন, রোগীদের স্থান সংকুলান হয় না। হাসপাতালের আয়ও বেড়েছে। মুজিব জাহান রক্ত কেন্দ্রে ২৪ ঘন্টা ভীড় লেগেই থাকে। রক্তদাতা ও গ্রহিতারা সেবায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট। এছাড়া রেডক্রিসেন্ট বিভিন্ন সময়ে দাঁড়িয়েছে আর্তমানবতার সেবায়। নার্সিং ইন্সটিটিউট সাম্প্রতিকালে একটি উন্নতমানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম কুঁড়িয়েছে। কমিটির দায়িত্বকালে হাসপাতালের নিজস্ব অর্থায়নে ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল এবং মুজিব জাহান রক্তকেন্দ্রের দ্বিতল ভবন নির্মাণ হয়েছে। অন্য যে কোন কমিটির চেয়ে ভালো ও স্বচ্ছ অবস্থানে থাকা স্বত্ত্বেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সিলেট ইউনিট নিয়ে নানামুখি বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। যা দায়িত্বশীলদের ব্যথিত করেছে। একটি মহল নিজেদের ফায়দা হাসিলের স্বার্থেই এসব করছে। তারা এখানে লুটপাট চালাতে চায়। সাধারণ মানুষকে সেবা থেকে বঞ্চিত করতে চায়।’

আব্দুর রহমান জামিল বলেন- ‘দূররে সামাদ রহমান রেড ক্রিসেন্ট মহিলা মেডিকেল কলেজকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি বলে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এ নামে আমাদের কোন প্রতিষ্ঠানই নেই। অনেক আগে একটি মেডিকেল কলেজ করার পরিকল্পনা হলেও সেটির কার্যক্রম বন্ধ। মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান কিংবা বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব ইউনিটের নয়। নয় বছরে নয়ছয়ে নয়, অত্যন্ত সফল ও সুনামের সাথে কার্যক্রম চলছে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আয় বেড়েছে সব প্রতিষ্ঠানের। ধোপাদিঘীর পাড়ে রেড ক্রিসেন্টের ৭ শতক ভূমিতে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের জন্য ইউনিটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাসিক ১২ হাজার টাকায় ভাড়া দেয়া হয়েছে। অথচ এটির নিয়ন্ত্রক মাহমুদ আলী নামে এক যুবলীগ কর্মী বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। যা সত্য নয়। ভূমিটি ভাড়া দেয়া হয়েছে। ভাড়াগ্রহীতারা নিয়মিত মাসিক ভাড়াও তহবিলে জমা দিচ্ছেন।


Comments are closed.




© All rights reserved © sylheteralo24.com
sylheteralo24.com